"চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী"- তালুকদার মোঃ ইউনুস
নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ নভেম্বর, ২০২১, 5:52 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ নভেম্বর, ২০২১, 5:52 PM
"চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী"- তালুকদার মোঃ ইউনুস
তালহা জাহিদঃ-
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার আসন্ন ২৮ নভেম্বর হারতা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ ২০ নভেম্বর শনিবার সকাল নৌকার পক্ষে থেকে রাত অবদি ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে জনসংযোগ ও নাথারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠ প্রাঙ্গণে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি জেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস বলেন, "চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী"। নৌকা মার্কা প্রার্থী অমল মল্লিকের পক্ষে উঠান বৈঠকে তার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, যারা সৎ ব্যক্তি না, যারা আদর্শ মানে না, যারা নীতি মানে না, দল মানে না, সমাজ মানে না তারা কারো ভালো কথা শোনে না, মনে একটা গোয়ার তলি ধরে, সেই ইগোতো তারা নির্বাচন করে। তিনি জল্লা ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য উর্মিলা বাড়ৈকে উদ্দেশ্য করে বলে, প্রয়াত অবনি বাড়ৈকে আমরা অনেক ভালোবাসতাম সে আমাদের দল করতেন, তাই সে প্রয়াত হওয়ার পরে আমাদের সকলের অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ মানবিক কারনে উর্মীলা দি'কে চেয়ারম্যান করলেন, জেলা পরিষদ সদস্য করলেন কিন্তু এরপরও তিনি নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করলেন, এজন্য আওয়ামী লীগ থেকে তাকে আমরা বহিষ্কার করলাম। এরপর তার জামাই একজন পিরোজপুর জেলা পরিষদ সদস্য ছিলো তাকে দিয়েও নৌকা বিরুদ্ধে নির্বাচন করালেন, এখন আবার আরএক জামাই দিয়ে হারতায় নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছে। মানে কথায় আছে না চলে যাবোতো আত্মীয় স্বজন সব নিয়ে যাবো। এসব করে কিছু যায় আসে না, হারতা নৌকার ঘাটি, উন্নয়নের জন্য চাই নৌকা। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের নানাবিধ উন্নয়ন তুলে ধরে, নৌকা প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু অমল মল্লিক'এর দির্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোন কলঙ্ক নাই বলে নৌকায় ভোট চান।"
এসময়ে আ'লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু অমল মল্লিক সকল নেতাকর্মীবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, "শান্তির ও উন্নয়নের মার্কা নৌকা, নৌকায় ভোট দিলে রাতে দরজা খোলা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায়। আমার দির্ঘ রাজনৈতিক জীবনের আমার মনে হয়না কেউ কষ্ট পেয়েছেন, যদি কেউ অজান্তে কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে নিজ গুণে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন, এবং আগামী ২৮ তারিখ একটি একটি ভোট দিয়ে নৌকা বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দক্ষিণ অঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক জননেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ হাতকে শক্তিশালী করবেন।"
এসময়ে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম জামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন বেপারি। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সকল উন্নয়নের ফিরিস্তি জনগণের মাঝে তুলে ধরে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার জন্য নেতাকর্মী ও জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
এসময়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু লাল মজুমদারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অশোক কুমার হালদার, সহ সভাপতি হাকিম সেরনিয়াবাত, সহ সভাপতি পরিমল কুমার বাইন অনু, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. মোঃ সালাউদ্দিন শিবু, যুগ্ন সম্পাদক ও বড়াকোঠা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ্যাড. শহিদুল ইসলাম মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বার বার নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অপূর্ব কুমার বাইন রন্টু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান বাবু সুনীল কুমার বিশ্বাস, হারতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডাঃ হরেন রায়, বামরাইল ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ হাওলাদার, শিকারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ সরোয়ার হোসেন, সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন হাওলাদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোঃ মাইনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক বাবু উত্তম কুমার হাওলাদার, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আজিজ সিকদার, উপজেলা আওয়ামী শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম শিপন মোল্লা, উপজেেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাবু অসীম ঘরামী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অভিলাষ হালদার, দক্ষিণ হারতা মমিন উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপর মাওলানা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেম্বার মোঃ ফারুক হোসেন তালুকদার, বাবুু বিজয় দাস।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শিকারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ কালাম সরদার, উপজেলা যুবলীগ নেতা মোঃ স্বপন হাওলাদার, সৈয়দ লাবু, ফিরোজ হোসেন, বাবুল সিকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পরিমল সাহা, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য বরুণ চক্রবর্তী, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি কৃষ্ণ বাড়ৈ, যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবর্তী, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কমল সাহা, শ্রমিক লীগের সভাপতি শংঙ্কর হালদার, সাধারণ সম্পাদক বিবেক বিশ্বাস, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষ্ণ দেবনাথ, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সব্যসাচি হালদার লিটু, ছাত্রলীগ সভাপতি কৃষ্ণ পান্ডে'সহ প্রমূখ।