অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে : রাষ্ট্রপতি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৭ এপ্রিল, ২০২২, 9:22 PM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৭ এপ্রিল, ২০২২, 9:22 PM
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পবিত্র রমজান ও ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দেশের বাজার অস্থিতিশীল করে। সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে তারা জনভোগান্তি সৃষ্টি করে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পবিত্র রমজান মাস চলছে। সামনে আসছে ঈদুল ফিতর। আমাদের দেশে রোজা, ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব এলেই দেখা যায়, কিছু কিছু পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতীয়, ধর্মীয় উৎসবে জিনিসপত্রের দাম কমানো হয়। রমজান উপলক্ষে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে পণ্যের দাম কমানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের বিপরীতচিত্র দেখা যায়। ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা উৎসবকে পুঁজি করে জনগণের পকেট কাটার জন্য ওত পেতে থাকেন।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেট আজকাল সবচেয়ে আলোচিত শব্দ। যে কোনো খাতে পণ্যের দাম বাড়লে বা কমলে সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়। যারা সিন্ডিকেট করে জনভোগান্তি বাড়ায়, তাদের আইনের আওতায় আনতে সরকারকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। বাজার অর্থনীতিতে দ্রব্যমূল্য নির্ধারিত হয় চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনা করে জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের এখানে চাহিদা ও সরবরাহের সমন্বয়হীনতা নয়, কারসাজির মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, অসাধু চক্র যাতে কোনোভাবে কারসাজির মাধ্যমে জনভোগান্তি বাড়াতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। সরকারকে আগাম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে বাজারে কারসাজি কমবে। এক্ষেত্রে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সবার সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে আমাদের কোনো কোনো পণ্য শীর্ষপর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ২০২৪ সালে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৮০ বিলিয়ন ডলার ধরা হয়েছে। নতুন রপ্তানিনীতি, কৌশলগ্রহণ ও বাস্তবায়ন, রপ্তানিকারকদের নতুন নতুন উদ্যোগে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, রপ্তানির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বাজার ও পণ্য বহুমুখীকরণ খুবই জরুরি। দেশের রপ্তানি বাণিজ্য ক্রমাগত প্রসার লাভ করছে। রপ্তানিতে আরও উচ্চমূল্যের পণ্যসামগ্রী অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রয়াস দরকার।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সবজি উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। প্রচলিত পণ্যের বাইরে দেশের ফলমূল, শাকসবজি বিদেশে রপ্তানি করা প্রয়োজন।
রপ্তানি খাতে অবদান রাখায় ২৭টি খাতের ৬৫ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। ১৭টি স্বর্ণ, ২৩টি রৌপ্য এবং ১৫টি ব্রোঞ্জ ট্রফি দেওয়া হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, করোনার কারণে গত অর্থবছরে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি টার্গেট আমরা পূরণ করতে পারিনি। তবে আশার কথা হচ্ছে, এবার ৫১ বিলিয়ন ডলারের যে রপ্তানি টার্গেট, সেটা পূরণ করতে পারবো। ২০২৪ সাল নাগাদ ৮০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। শুধু পোশাকশিল্প নয়, অন্য শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইপিবির চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান ও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।