কলারোয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ মাস ধরে নারীকে ধর্ষণ থানায় অভিযোগ
আসাদুজ্জামান আসাদ, কলারোয়া, সাতক্ষীরাঃ
২৬ জানুয়ারি, ২০২২, 4:32 PM
আসাদুজ্জামান আসাদ, কলারোয়া, সাতক্ষীরাঃ
২৬ জানুয়ারি, ২০২২, 4:32 PM
কলারোয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ মাস ধরে নারীকে ধর্ষণ থানায় অভিযোগ
কলারোয়ার কেরালকাতা ইউনিয়নের হুলহুলুয়ি গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক সহজ সরল নারীকে (২৪) কে ৯ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।রবিবার সকালে ধর্ষণ ও প্রতারণার শিকার ওই নারী বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত মামলার ২আসামি উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কিসমত ইলিশপুর গ্রামের শেখ আল মামুন (২৭) ও তার পিতা আবুল বাশার (৬৫)।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কিসমত ইলিশপুর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে শেখ আল মামুন (২৭)এর সাথে আড়াই বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে ঐ মেয়ের। তারপর তাকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন স্থানে তাকে নিয়ে রাত যাপন করে একাধিক সূত্রে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তিরা। কিন্তু ছেলে আল মামুন বিয়ে না করে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে থাকে। সর্বশেষ পরিবার যখন মেয়েকে বিয়ের জন্য প্রচন্ডচাপ দেয় তখন তাকে বলি বিয়ে করার জন্য। তারপর কিছুদিন পর আল মামুন আমাকে অজানা এক স্থানে নিয়ে গিয়ে নীল রংঙ্গের কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে বলে আমাদের বিবাহ হয়ে গেছে। তারপর আল মামুন ঢাকায় বাসা নিয়ে আমার সাথে স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করতে থাকে ৯ মাস। কিছুদিন যাবৎ তার চাল চলন সন্দেহ হলে তার কাছে আমাদের বিবাহের কাবিননামা দেখতে চাই। তখন সে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। সর্বশেষ গত ৬ জানুয়ারি আল মামুন আমার বাপের বাড়ি আসে এবং রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমার সাথে সে শুয়ে পড়ে ও আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার সময় সে আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে। তখন তাকে বিয়ের কাবিননামা দেখাতে বললে সে আমার উপর রেগে বলে কোন কাবিননামা নেই। তোর সাথে আমার বিয়ে হয়নি, আর কোন দিন বিয়ে করবো ও না। তার পরিবার জানতো তার সাথে আমার সম্পর্ক, কিন্তু তাঁরা আমার মিছে বিয়ের ছলনা করে আমার ও আমার পরিবারের সম্মান হানি করেছে আমি প্রশাসনের কাছে এর সুবিচার চাই।
পরবর্তীতে তার পিতা আবুল বাশারের কাছে গেলে সে তার ছেলে আল মামুনের সুরে সুর মিলিয়ে বলে সে আমাকে তার ছেলের সাথে বিয়ে দিবেনা। তথচ আল মামুন তার পিতার সহযোগিতায় আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের নাটক সাজিয়ে আমার মনে বিশ্বাস স্থাপন করে আমাকে ব্যবহার করেছে । এ ঘটনা তাঁর এলাকার সবাই জানে।
সর্বশেষ এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষণ ও প্রতারণার শিকার হওয়া নারীর মামলা আমলে নেওয়া হয়েছে। মামলা নং-৪১। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে, এ ব্যপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইন চলবে তাঁর নিজস্ব গতিতে। ইন্সপেক্টর তদন্ত হাফিজুর রহমান বলেন ওসি স্যারের নির্দেশে আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত থাকবে।