ঠাকুরগাঁওয়ে জামালপুর ইউনিয়নে জনপ্রিয় আমিনুল
আক্তারুল ইসলাম আক্তার, ঠাকুরগাঁওঃ
১৬ নভেম্বর, ২০২১, 7:11 PM
আক্তারুল ইসলাম আক্তার, ঠাকুরগাঁওঃ
১৬ নভেম্বর, ২০২১, 7:11 PM
ঠাকুরগাঁওয়ে জামালপুর ইউনিয়নে জনপ্রিয় আমিনুল
বাবা হেমায়েল উদ্দীন চৌধুরী ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ছাত্র জীবন থেকে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির কারনে এলাকায় বেশ জনপ্রিয় তিনি। এখনও তিনি আওয়ামীলীগের সাথে সম্পৃক্ত। বাবার দেখানো পথেই হাঁটছেন ছেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আমিনুল হক চৌধুরি(হিরু)। জন্মলগ্ন থেকে ঠাকুরগাঁও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বাবা হেমালে উদ্দীন চৌধুরী। তৃণমূলে খুবই জনপ্রিয় এবং একনিষ্ঠ।
হেমায়েল উদ্দীন ১৯৭৩জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের সৎ রাজনীতিবিদের মধ্যে অন্যতম একজন তিনি। তার সততা আর নিষ্ঠার কারণে তৃণমূলে বেশ জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগঠক হিসেবও কাজ করেছেন এই ব্যক্তি। ঠাকুরগাঁও মহকুমা স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন হেমায়েল উদ্দীন।
নিজ চোখে বাবার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা বুকে ধারণ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সক্রিয় হয়ে পড়েন ছেলে আমিনুল হক চৌধুরী। নিজ ইউনিয়নের কোনো মানুষ বিপদে পড়লেই সবার আগে ছুটে যাওয়া মানুষটি তিনি। প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের পাশে থাকায় আমিনুল হক এখন সবার ভরসার মানুষ। ইউনিয়নের মানুষের চাওয়া তাকে এবার নৌকা প্রতীকে জামালপুর ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন দেয়া হোক। তবেই উন্নয়ন হবে এলাকার ও মানুষের।
এ প্রসঙ্গে জামালপুর ইউনিয়নের বাকুন্দা গ্রামের বাসিন্দা ইসলাম বলেন, আমিনুল হক নৌকা প্রতীকে মনোয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। কারণ তিনি এলাকায় বাবার মতোই জনপ্রিয়। তিনি চেয়ারম্যান হলে এলাকার অনেক উন্নয়ন হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমিনুল ভাই গরিবের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। এরপর সাধ্যমতো তিনি সমাধানের চেষ্টা করেন।
একই এলাকার হাসান বলেন, আমিনুল চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ্য প্রার্থী। তাকে দলের মনোনয়ন দিলে ইউনিয়নবাসী অনেক উপকৃত হবে। আমরা তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।
একাধিক আওয়ামীলীগ স্বমর্থক বলেন, তাকে মনোনয়ন দিলে এলাকার গরিব ও অসহায় মানুষ সরকারের দেয়া সুযোগ সুবিধাগুলো ভালোভাবে পাবে। এছাড়া আমিনুল তার বাবার মতোই একজন ভালো মানুষ। তার কাছে সবাই সমান। বাবার রাজনৈতিক আর্দশ নিয়ে দেশ গড়ার কাজে তিনি সব সময় নিবেদিত।
এ বিষয়ে আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি আমার বাবা সারাজীবন নিবেদিত ছিলেন। তিনি এখন পর্যন্ত দলকে সময় দিচ্ছেন। কঠিন সময়েও তিনি দলের সিদ্ধান্ত এবং ভালো লাগা থেকে এক চুলও সরেননি। এটা জেলা আওয়ামী লীগের সবাই অবগত। বাবার কাছ থেকে সরাসরি রাজনীতি শিখেছি। অসহায় মানুষের জন্য কীভাবে কাজ করতে হয় সেটা বাবা শিখিয়েছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি। ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত আমি। দলের মানুষের জন্য কাজ করছি। এবার এলাকার মানুষ খুব করে চায় আমাকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে। তাদের কোনোভাবে বোঝাতে পারছি না যে এটা দলের সিদ্ধান্ত। দল আমার বাবা ও আমার রাজনৈতিক কর্মকান্ড বিবেচনা করে যা সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই আমার সিদ্ধান্ত।
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহা: সাদেক কুরাইশী জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সৎ, যোগ্য, গরীবের জন্য নিবেদিত প্রাণ যারা তারা মনোনয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে যারা বদ্ধ পরিকর দল তাকেই মনোনীত করবেন। যে যার মেধা যোগ্যতার বলে মনোনয়ন পাবেন। আমি শুধু বলবো প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনীত করবেন আমরা দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এক হয়ে তাকে নির্বাচিত করতে জনগণের দ্বারে দ্বারে যাবো এবং এক সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।