ধর্ষণে প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা, মারধর করে গর্ভের সন্তান নষ্ট
রুজেল আহমেদ, সুনামগঞ্জঃ
১৩ জানুয়ারি, ২০২২, 3:28 PM
রুজেল আহমেদ, সুনামগঞ্জঃ
১৩ জানুয়ারি, ২০২২, 3:28 PM
ধর্ষণে প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা, মারধর করে গর্ভের সন্তান নষ্ট
সুনামগঞ্জের পৌর শহরের বড় পাড়া এলাকায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করে অন্তসত্বা করছে বিরাই মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধা। সে পৌর শহরের বড়পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হেকিম কাঁচা মিয়ার ছেলে। গত বুধবার (০৫ জানুয়ারী) সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নির্যাতিত মেয়েটির মা তিনজনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির বাবা রিস্কা চালক, মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে তিন মেয়ে ও এক ছেলের মুখে খাবার তুলে দেন।
সেই জন্য তিনি প্রতিদিন সকাল ৮ টায় বাসা থেকে বের হয়ে যান ও বিকাল ৪ টায় বাসায় ফিরেন। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে গত এক বছর ধরে তাদের ঘরের পাশে তাকা বিরাই মিয়া মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে চানাচুর, চকলেট সহ বিভিন্ন প্রভোলন দেখিয়ে তার নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করতে তাকে। এক পর্যায়ে প্রতিবন্ধী মেয়েটির
শারীরিক গঠন পরিবর্তন হতে তাকলে মেয়েটির মা তাকে সুনামগঞ্জ ইউনিক
ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ডক্টর'স চেম্বার নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করালে
ডাক্তার তাকে সাড়ে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জানায়। পরে মেয়েটির মা বিরাই মিয়াকে তার প্রতিবন্ধী মেয়ের সাথে কেন এমন করল তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ও তার দুই ছেলে তাদের মারধর করতে তাকে এবং মামলা করলে জানে মেরে ফেলবে বলে
হুমকি দেয়। পরে অভিযুক্ত বিরাই মিয়া ও তার ছেলে লুৎফুর মিয়া অসহায় পরিবারটিকে ভয় দেখিয়ে নির্যাতিত মেয়েকে ভালো ডাক্তার দেখানোর কথা বলে গত রোববার (০৫ ডিসেম্বর) গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে। নির্যাতিত মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটির মা বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে আমার সংসারটা চালাই। সেই
সকাল ঘুম থেকে উঠে অন্যের বাসায় কাজ করে ছেলে মেয়েদের মুখে খাবার তুলে দেই। আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটার এত বড় ক্ষতি করল। পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম
কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আদালতে মামলা করেছি। আমি আমার মেয়ের সাথে যারা এমন করেছে তাদরে শান্তির দাবি জানাই। নির্যাতিত মেয়ের পক্ষের
আইনজীবী অ্যাড.রুবেল আহমদ বলেন, একটা মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ের সাথে কেউ এমন করতে পারে সেটা ভেবেও লজ্জা লাগছে। নির্যাতিত মেয়েটির মা বাদী হয়ে পিতা ও তার দুই পুত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দিলে আদালত সেটি সিলেট পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।