পশ্চিম বীরগাওঁ ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করতে গুটিকয়েক আওয়ামীলীগ নেতার গোপন মিশন শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ নভেম্বর, ২০২১, 6:03 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ নভেম্বর, ২০২১, 6:03 PM
পশ্চিম বীরগাওঁ ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করতে গুটিকয়েক আওয়ামীলীগ নেতার গোপন মিশন শুরু
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা ও গণসংযোগ ততই বেড়ে চলছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে ঘিরে সাধারন ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে দিনরাত বিরামহীভাবে গ্রামে গ্রামে প্রতিটি ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানান ধরনের প্রতিশ্রæতি দিয়ে ভোটারকে তাদের পক্ষে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন হচ্ছে পশ্চিম বীরগাওঁ। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি সংসদ নির্বাচন হোক আর উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হোক এই ইউনিয়নের মানুষ বার বার বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রতিক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে আসলে ও সহসাই অবহেলিত রয়ে গেছে ইউনিয়নের মানুষজন। এবারো আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিভিন্ন দলের অনুসারী ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত এডভোকেট দেবাংশু শেখর দাসকে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য প্রার্থী দেয়া হলেও গুটি কয়েক সুবিধাভোগী আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী নেতা তারা দলের লেবাসে সভা সমাবেশে নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী দাবী করলেও তারা পর্দার অন্তরালে থেকে স্থানীয় গুটিকয়েক নেতা যারা একটি গ্রামের নেতৃত্ব দেন এমন হাতেগোনা দুয়েকজন নেতাকে তাদের াফিসে ডেকে নিয়ে শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থী এড. দেবাংশুর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মোটর সাইকেল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলামের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার সলাপরামর্শ দিচ্ছেন। অপরদিকে এই পশ্চিম বীরগাও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এক সহ সভাপতি যিনি প্রকাশ্য বিএনপির আদর্শের অনুসারী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকনের চশমা পক্ষে প্রকাশ্যে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন বলে বিভিন্ন গ্রামের ভোটারগন এ প্রতিবেদককে জানান। আসলেই তারা কি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী নাকি ঘাপটি মেরে থাকা বর্তমানে দলে সুযোগ সন্ধানী অনুপ্রবেশকারী,তারা দলের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রমান করেছেন উনারা কোন আওয়ামীলীগার নন। এই নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার প্রধান অন্তরায় হচ্ছে টাকার ছড়াছড়ি। টাকার প্রভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করতে দুয়েকজন প্রার্থী কোমড় বেধেঁ এবার মাঠে নেমেছেন কর্মীবাহিনী নিয়ে। ফলে ভোটের আগে যে নির্বাচনী আমেজ পাল্টে গিয়ে তা সংঘাতে রুপ নিতে । তাই ওরা কারা যারা এতোদিন আওয়ামীলীগের লেবাসে রাজনীতি করে সরকারের অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন তারা এখন সরকার দলীয় প্রার্থীর বিরোধীতা করে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করার মিশনে ইতিমধ্যে কোমড় বেধেঁ মাঠে নেমে পড়েছেন। ওরাই দলের সুযোগ সন্ধানী নেতা টাকা কামানোর মিশনে নেমে শেখ হাসিনার প্রার্থীকে পরাজিত করতে চান।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়া জানান যারা এই পশ্চিম বীূরগাওঁ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাদে;র দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবস্থান নিে ছেন তারা এই আওয়ামীলীগের আদর্শের কোন কর্মী হতে পারে না ওরা সুবিধাবাদি অনুপ্রবেশকারী। তাদের চিহিৃত করে দল থেকে বহিস্থার করা হলে প্রকৃত নেতাকর্মীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও পশ্চিম বীরগাওঁ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন বলেন,যারা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। আমরা দলের নেতাকর্মীরা বসে যারা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য হোক আর গোপনে হোক পরাজিত করার পায়ঁতারায় সংশ্লিষ্টতার প্রমান পাওয়া যাবে আমরা তালিকা তৈরী করে কেন্দ্রে পাঠানোর ও ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট বলেন যারা আমাদের আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে তাদেরকে দল থেকে বহিস্কারের সময় এসেছে। ওরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কোন কর্মী হতে পারে না ওরা সুবিধাবাদি অনুপ্রবেশকারী। ##
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২০.১১.২০২১