সীমান্ত বাণিজ্য নৌপথে ৪ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই কয়লার চালান জব্দ, গ্রেফতার ৪
মোঃ আমির হোসেন, তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ
১৯ নভেম্বর, ২০২১, 8:49 PM
মোঃ আমির হোসেন, তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ
১৯ নভেম্বর, ২০২১, 8:49 PM
সীমান্ত বাণিজ্য নৌপথে ৪ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই কয়লার চালান জব্দ, গ্রেফতার ৪
বিনা শুল্কে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত হতে আনা দুটি অবৈধ কয়লার চালান জব্দ করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোররাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পাটলাই নদীতে বিশেষ অভিযান চলাকালে থানা পুলিশ ওই কয়লার চালান গুলো সহ ৪ চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার কৃতরা হলো,উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে রুহুল আমিন, একই গ্রামের আব্দুল হাফিজের ছেলে জাফর আলী, বাবুল মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন, ফয়েজ আলীর ছেলে জয় হোসেন।
শুক্রবার থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে চারজনকে গ্রেফতার ও অপর তিন চোরাকারবারীকে পলাতক দেখিয়ে থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।
মামলার পলাতক আসামীরা হলো,উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম লাল ঘাটের মৃত আলী বক্সের ছেলে জামাল মিয়া ওরফে (ড্রাইভার) জামাইল্যা,লাল ঘাট গুচ্চ গ্রাম দক্ষিণ পাড়ার লাল হোসেনের ছেলে খোকন মিয়া,লাল ঘাট পুর্ব পাড়ার আব্দুল মোতালিবের ছেলে মানিক মিয়া।
মামলার পলাতক আসামীরা হলো,উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম লাল ঘাটের মৃত আলী বক্সের ছেলে জামাল মিয়া ওরফে ড্রাইভার জামাল, লাল ঘাট গুচ্চ গ্রাম দক্ষিণ পাড়ার লাল হোসেনের ছেলে খোকন মিয়া, লাল ঘাট পুর্ব পাড়ার আব্দুল মোতালিবের ছেলে মানিক মিয়া।
শুক্রবার সন্ধায় সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মিডিয়া সেল জানায়,তাহিরপুরের বালিয়াঘাট-চারাগাঁও,টেকেরঘাট সীমান্তের কয়েকটি চোরাচালানী চক্র গত দু’বছরের অধিক সময় ধরে বিনাশুল্কে ভারত হতে চোরাচালানের মাধ্যমে কয়লা চালান এপারে নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। এমন তথ্যের ভিক্তিত্বে বুধবার ভোরাতে অভিযানে নামে থানা পুলিশ।
তাহিরপুর থানার টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে যখন যে ইনচার্জ দায়িত্বরত ছিলেন তাকেই ট্রলার প্রতি বখরা দিয়ে, থানা পুলিশ, বিজিবি, আইনশৃংখলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব চোরাচালানের মাধ্যমে এপারে নিয়ে আসা কয়লা বস্তা, টন, ট্রলার প্রতি বখরা আদায় করে আসছিলো একটি চক্র । এ চক্রের মূল হোতা উপজেলার চারাগাঁও গ্রামের মগবুল হোসেরে ছেলে শফিকুল ইসলাম ভৈবর, লালঘাট পশ্চিম পাড়ার আব্দুল মোতালিবের ছেলে শহিদুল্লাহ, তার সহোদর মাদক চোরাকারবারী আব্দুল্লাহ, একই পাড়ার আলী নুরের ছেলে হারুন মিয়া ও একই পাড়ার কিতাব আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ ‘সোনার ডিম’ পাড়ে বলেই বরাবরই থেকে গেছে অধরা।
শুক্রবার ভোররাতে জব্দকৃত দুটি কয়লার চালানের একটির মালিক উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের কাঁচা মিয়ার ছেলে নিজাম উদ্দিনকে রহস্যজনক কারনে মামলার আসামী করা হয়নি বলে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। চোরাচালান বাণিজ্যেও মূল হোতা ও চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যকে মামলায় আসামী করা হয়নি এমন বিষয়টি জানাজানি জলে গোটা উপজেলায় পুলিশের ভাবমুর্তি প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছে নানা প্রেশি পেশার মানুষজনের নিকট।
এ চক্রের সদস্যদের ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন দফায় দফায় অভিযোগ ওে আসলেও টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা ইনচার্জ এএসআই খাইরুল ইসলাম অতীতে থাকা উনচার্জদেও ন্যায় নিরব ভুমিকা পালন কওে গেলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযানে দুটি স্টিল বডি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে করে তাহিরপুরের পাটলাই নদীর নৌপথ ব্যবহার করে চোরাই কয়লার চালান নেত্রকোনার কলমাকান্দা নিয়ে যাবার পথে থানা পুলিশ কয়লার দুটি চালানে ১৪০ বস্তা (৮ মেট্রিকটন) কয়লা, দুটি ষ্টিল বডি ট্রলার জব্দ করণ সহ চার চোরাকাবারীকে গ্রেফতার করে।এ সময় পুলিশের চোখ এড়িয়ে তিন চোরাকারবারী ও তাদের কয়েক সহযোগি ট্রলার দুটি হতে পালিয়ে যায়।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (িবপিএম) বলেন, বৈধপথে এলসির মাধ্যমে নিয়ে আসা কয়লা,চুনাপাথর ছাড়া চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা অবৈধ কয়লা,পাথর, চুনাপাথর, কথিত ‘বাংলা’ কয়লার চালান নিয়ে যাবার চেষ্টা করলেই পুলিশকে তা জব্দ করে সংশ্লিষ্টট চোরাকারবারীদের ব্যাপারে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া আছে।