হরভজনকে বিয়ের পর যে কারণে অভিনয় ছাড়েন গীতা
স্পোর্টস ডেস্ক
১০ নভেম্বর, ২০২১, 1:11 AM
স্পোর্টস ডেস্ক
১০ নভেম্বর, ২০২১, 1:11 AM
হরভজনকে বিয়ের পর যে কারণে অভিনয় ছাড়েন গীতা
ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক স্পিনার হরভজন সিং ২০১৫ সালে বলিউড অভিনেত্রী গীতা বসরাকে বিয়ে করেন। ৮ বছরের দীর্ঘ সম্পর্কের পর ভাজ্জি এবং গীতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর অভিনয় দুনিয়াকে বিদায় জানান অভিনেত্রী। ২০১৬ সালে পাঞ্জাবি সিনেমা 'লক'-এ শেষবার দেখা গিয়েছিল তাকে।
এক সংবাদমাধ্যমকে গীতা বলেছিলেন, 'আমি একজন পরিশ্রমী মা হতে চাই, যিনি তার পরিবারকে ভালোভাবে গড়ে তুলবে। আজ আমাদের যা কিছু আছে তাদের কারণেই। আমি আমার অনুপ্রেরণা হিসাবে এটি গ্রহণ। আমি মনে করি না যে নারীদের তাদের যে কোনও আবেগকে ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
তার ভাষ্য, ‘একজন মা হওয়াই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় পুরস্কার এবং পরিপূর্ণ ভূমিকা ছিলো। আমি হিনায়ার সঙ্গে থাকার প্রতিটি মুহূর্তটি উপভোগ করেছি। চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাই না, এটা একদমই আমার নিজের ইচ্ছেয়। আমি মাতৃত্বকে উপভোগ করছিলাম এবং নিশ্চিত হয়েছি যে আমি তার প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে থাকছি। তার প্রথম হাঁটা, তার প্রথম হাসি, তার প্রথম শব্দ এসব উপভোগ্য।’
অন্যদিকে, হরভজন সিয়ের বয়স ৪১ হয়ে গেলেও তিনি এখনো জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখতেন। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বসীও ছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। আইপিএলে কোনোমতে সুযোগ পেয়েছিলেন।
এই ফাঁকে হরভজন সিং একটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন! সেই তামিল সিনেমার নাম 'ফ্রেন্ডশিপ'। কিন্তু হরভজনের অভিনয়কে বেছে নেওয়া পছন্দ হয়নি তার স্ত্রী গীতা বসরার। তার মতে, অভিনয় করা হরভজনের কাজ নয়।
তবে হরভজন বলেছেন, ‘নিজের স্ত্রীর সঙ্গে অভিনয়ের ব্যাপারে তার বিশেষ কোনো কথা হয়নি। তবে বিষয়টা পছন্দ করেননি গীতা। হরভজনের ভাষায়, 'সিনেমার ব্যাপারে ওর দৃষ্টিভঙ্গি অনেক আলাদা। সে শুধু আমাকে বলেছিল, কেন আমি অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ অভিনয়টা আমার আসল কাজ নয়। আমি বলেছিলাম, চেষ্টা না করে দেখলে বুঝব কীভাবে? তাই চেষ্টা করি এবং বুঝি যে, এটা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। ক্রিকেটে কোনো রিটেক নেই। কিন্তু সিনেমায় ভুল শোধরানোর সুযোগ থাকে।'
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘দ্য ট্রেন’ সিনেমায় কাজ করে অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন গীতা বসরা। এ ছাড়াও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।